জীবন যেন এক ভাঙ্গা আয়না”Jibana yena eka bhanga ayana

যেখানে মুখ দেখলে মনে হয় অনেক মুখের আকৃতি।। 

নিজের সঠিক মুখের রূপ যেন খুঁজে পাওয়া যায় না।

আমার কাল্পনিক এই ছোট গল্পটি আমি সাজিয়েছি

 কল্পনার জগতে ঘুরে ফিরেই,

সত্যিই ভালোবাসার মানুষকে দেওয়া শেষ চিঠিটা যেন খুবই কষ্টকর।

কষ্ট পেলেও ভালোবাসার সঠিক মর্যাদা 

হয়তো খুঁজে ও পাওয়া যায় না,

হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষের খবর নিতে

 কিংবা খবর পেতে একটি চিঠি অনেক সহায়তা করে,

তাইতো তোমাকে দেওয়া চিঠিটা আজ

 নয়তোবা কাল তুমি অবশ্যই পড়বে, 

যাই হোক যখনই পড়বে তুমি তোমার অনুভূতি নিয়েই পড়বে।

আমি ও ঠিক তোমার দেওয়া চিঠিটা

 এখন ও পড়ে শেষ করিনি ইচ্ছে করেই।

কেননা যদি পড়ে ফেলতাম তাহলে জেনে যেতাম তোমার সব কথা,

তাইতো প্রতিটি দিন এক লাইন দুলাইন করে পড়ে যাচ্ছি,

যদি ভালো লাগে তাইতো এক‌ই লেখা বারে বারে পড়ে থাকি।।

তুমিও হয়তোবা আমার দেওয়া চিঠিটা

 গভীর রাত ছাড়া অবশ্যই পড়বেনা।

তাহলে চলুন প্রিয় পাঠক আমার দেওয়া 

শেষ চিঠিতে কি লিখে ছিলাম আমার প্রেয়সীকে, 

সেই বিষয় নিয়েই আজকের এই লেখা।।

 চিঠিতে কি ছিলো লেখা??,,

তারপর আমি তোমাকেই বলছি “নীলা”‘ 

আমি ভালবেসে ওকে নীলা নামে ডাকতাম।

লেখার শুরুতে আমি অনুরোধ করছি নির্জনে ও 

গভীর রাত ছাড়া তুমি এই লেখা পড়বেনা।

 কারন পত্রের কথাগুলো তুমি গভীর রাতে

 ছাড়া অনুভব করতে পারবেনা। কারণ,

গভীর রাতে মানুষ সব কিছু ভুলে গিয়ে ঢুবে থাকে নিজের মাঝে, 

কিন্তু সব কিছু ছেড়ে ধরাদেয় নিজের মনের কাছে।

এখন রাত অনেক গভীর।

 তাই জানতে ইচ্ছে করে একটি কথাই বারে বারে 

কেমন আছো তুমি নীলা?

হয়তো অবাক হচ্ছো? 

কিন্তু অবাক হবারই কথা। 

যে মানুষটি আগে চোখ বন্ধ করেও 

বলেদিতে পারতো তুমি কেমন আছো, 

আজ সে নিজেই জানতে চাইছে!!! আমি ভালো নেই। 

কিন্তু ভেবেছিলাম তোমাকে ভুলে গিয়ে ভালথাকব।

 কিন্তু না পারছি তোমাকে ভুলতে, 

না পারছি আমি এই পৃথিবীতে ভাল থাকতে। 

আমি বুঝতে পারছি তিলে তিলে যে,

মনের উপর শাসন চলেনা,

এতে করে বিপরীত ফল হয় তেতো। 

তাই হয়তো তোমাকে যতই ভুলতে চাচ্ছি 

ততোই তুমি দৃর থেকেই আমাকে আঁকড়ে ধরছো, 

আমার হৃদয়পটে যে শুধু তোমার ই একটি সাদাকালো

 ছবি আমি রক্তের রং দিয়ে একেছি। 

তুমি আমাকে যে ভালোবাসা নিবিড় ভাবে দিয়েছো

 তা সত‍্যিই ভুলে যাবার মতো নয়।

আসলে প্রিয় মানুষদের আগলে রাখার

 ক্ষমতা মহান আল্লাহ তাআলা সবাই 

কে দিয়ে থাকেন না এছাড়া সবার থাকেওনা। 

তবে তোমাকে আগলে রাখতে না পারলেও

 আমি ঠিকই আগলে রেখেছি আমাদের 

সেই স্মৃতিগুলোর কথা। আচ্ছা,

 তুমি কি এখন‌ ঐ দূর আকাশে

 পূর্ণিমা রাতের চাঁদ দেখে থাকো??

আসলেই ব্যস্ততার মাঝে আমি এখনও একা একা নিরবে ই 

ঐ দূর আকাশের চাঁদ দেখি। আর ভাবনার জগতে গিয়ে 

তোমার সাথেই কথাবলি।

তবে আমি কিন্তু তোমার ফোন নম্বর হারাইনি, 

তাই কেনো যেনো নিজ থেকেই তোমার নম্বরে ফোন দেই । 

যদিও অপরপ্রান্ত থেকে প্রতিদিনই দুঃখিত শব্দটি ভেসে আসে 

আমার কানে তবুও কেনো যেনো মনেতে শান্তি পাই আমি।

 তাই ঐ দূরের চাঁদই এখন আমার একমাত্র বন্ধু। 

আমি তাকে যতো কটু কথাবলিনা কেন, 

সে আমার উপর একদমই অভিমান করেনা।

শুধু একদৃষ্টিতে চেয়েথাকে আমার দিকে, 

আর দেখে আমার সরলতায় ভরা পাগলামি। 

তবে যখন তার হৃদয় আকাশ মেঘলা থাকে, 

তখন সে আমার উপর কিছুটা অভিমান করে।

 পরক্ষনেই মেঘের আড়াল থেকে ছুটে আসে আমায় দেখতে। 

আমি ঐ চাদেঁর সাথে জানালার পাশে 

বসে বসে কথা বলতে বলতে একসময় ঘুমিয়ে পড়ি, 

তখনও সে জানালা দিয়ে আমার দিকে অপলক 

দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসতে থাকে। 

তাকে বিদায় জানাবার আগে আমি ঘুমিয়ে 

পড়লেও তার চোখে থাকেনা কোন অভিমানের চিহ্ন। 

চাঁদ ছিল আমাদের ভালবাসার নিরব সাক্ষী।

তোমাই ভালবেসে চাঁদকে যখন দেখতাম মনেহতো, 

চাঁদটা টিপ হয়ে তোমার কপালে শোভা পাচ্ছে। 

এখন চাঁদকে আর আগের মতো সুন্দর লাগেনা, 

হয়তো আমাদের ভালবাসার এমন করুন পরিনতি 

সইতে না পেরে চাঁদ নিজেই নিজেকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত।

 আমাকে দেখলেই চাদঁ যেন এখন মেঘের আরালে লুকিয়ে যায়।

তুমি যানোনা হয়তোবা নীলা যে, আমি এখন বড় অগোছালো 

হয়ে গিয়েছি কোনো কিছু ঠিক ভাবে সামলাতে পারছিনা। 

কিন্তু তোমার দেয়া বিভিন্ন দরনের ফুলের চারাগুলোও আজ 

আমার মতোই যত্নের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে, 

ঠিক যেন আমার চোখের জলের মতোই কিন্তু আজ আমি 

শত কষ্টের মধ্যে থেকেও চোখ দিয়ে 

একফোঁটা অশ্রু ঝড়াতে পারছিনা।

ছেলেরা সাধারনত তাদের কান্না কাওকে 

দেখতে বা অনুভব করতে দেইনা। 

তাই হয়তো আমার কান্নাও 

তুমি কখনো অনুভব করতে পারনি। 

মাঝে-মধ্যে আমি কখন যে কি করে 

বসি তা নিজেও বুঝতে পারিনা। 

নিজের অজান্তেই অন্যদের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি। 

মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হয়, 

হে নিষ্ঠুর পৃথীবি আমি আর পারছিনা। 

কেন জানিনা কি হয়েছে আমার, 

তাইতো প্রিয় মানুষদের কষ্ট দিতে আমার খুব ভাল লাগে।

নীলা সত্যি বলছি,এগুলো আমার ম

নের কিংবা ইচ্ছাকৃত দেওয়া কষ্ট নয়। 

আসলে আমার জীবনটা এমনই, 

ঝড়ো হাওয়ার মতো গতিময় কিন্তু উদ্দেশ্যবিহীন।

 এই দেখ, হঠাৎ তোমার জীবনে আসলাম, 

ভালোবাসি বললাম, আবার হঠাৎই সব থমকে গেল।

 কি এমন বলেছিলাম, 

যে এভাবে আমাকে ছেড়ে চলেগেলে?

 তুমি শুধু মুখের কথাটাই দেখলে

, আমার মনের ভাষাটা একবারও বুঝতে চেষ্টা করলে না। 

তুমি না আমাকে অনেক ভালবাসতে!!!

 কিন্তু, আমি বকাদিলে, 

তোমার ফোন রিসিভ না করলে তুমি খাওয়া বন্ধ করে দিতে। 

কিন্তু তোমার আম্মু ফোন দিয়ে আমাকে সব বলতো। 

তখন আমি ফোন দিয়ে অনেক চেষ্টা করে তোমার রাগ ভাঙ্গাতাম।

 খুব ভাললাগতো তোমার এই ভালোবাসা।

 নীলা তবে কেন‌ইবা হারিয়ে গেলে তুমি ঐ দূরের নীল আকাশে, 

আমিও যে তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি কিন্তু সেটা বোঝানোর

 ক্ষমতা আমার হয়তোবা মহান আল্লাহ দেয়নি।

যদি পারতাম তাহলে এই নশ্বর পৃথিবীকে জানিয়ে দিতাম তোমাকে 

কত ভালোবাসি। আমি আগে রাত জাগতে পারতাম না। 

তবে তোমার শুধু রাতজেগে আমার সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগতো,

তাই আমাকে অনেক রাত জেগে তোমার সাথে কথা বলতে হয়েছে। 

কখনো বলিনি আমার ঘুম আসছে। 

আমি জানি প্রত্যেকটা মেয়েই একটু অবুঝ টাইপের হয়। 

যতই ভালোবাসা হয় ততই শিশুর মত অবুঝ হয়ে ওঠে।

 হঠাৎ একটু কষ্ট পেলে সয়তে না পেরে কেঁদে ফেলে। 

কিন্তু তারা বোঝেনা এই কষ্টের

 পেছনেই ছিল প্রিয় মানুষটির দেয়া কতটা ভালোবাসা। 

আমি কখনো তোমাকে কাঁদাতে চাইনি।

 তুমি যদি আমার ভালবাসাকে হৃদয় 

দিয়ে অনুভব করতে তাহলে কখনই আমাকে ছেড়ে যেতে পারতে না।

 তোমার তো ছিল একটাই অভিযোগ,

আমি খুব রাগী আর আমার ভেতর সমঝোতা নামক জিনিষটা নেই।

নীলা তুমি জানো, আমি এখন আর একদম রাগ করিনা। 

আমার সব রাগ এখন স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। 

আমার গ্ৰামের বাড়িতে বরিশাল জেলায় আমার 

শৈশব ও কৈশোর সময়ের ফেলে আসা দিনগুলোতে

 একটি স্মৃতির দিকনির্দেশনার প্রিয় ও প্রকৃতির সৃষ্টির 

এক কলরবে বয়ে যাওয়া 

একটা নদী আছে। ইচ্ছা ছিল আমরা প্রায়ই সেখানে

 তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।

 নদীটির নাম ছিলো সন্ধ‍্যা নদী, যেন সন্ধ্যা নামলেই 

প্রকৃতির সমস্ত সুখ শান্তি গিয়ে

 মিশতো ঐ নদীতে।

তাইতো আমার ইচ্ছে ছিলো নদীটার খুব কাছেই 

থাকবে আমাদের একটা বাংলো।

 বাংলোটার থাকবে অদ্ভুত সুন্দর একটা নাম।

 নামটা হবে অবশ্য তোমার পছন্দের।

 বাংলোটির খুবকাছেই থাকবে শ্বেতপাথরে বাঁধানো 

একটা ঘাট। আমি ঘাটের উপরের দিকের সিঁড়িতে বসে থাকবো, 

আর তুমি জলের খুব নিকটে তোমার কোমল 

পা দুটি জলে ছুঁয়ে বসে থাকবে।

 আর মাঝে মধ্যে আমার দিকে একটু করে জল ছিটিয়ে দিবে। 

থাক এসব কথা। আমি হয়তো স্বপ্ন একটু বেশিই দেখি।

 সবকিছু নিজেরমত করে ভাবতে চাই। 

তবুও আমি বিশ্বাস নিয়ে মনে মনে শুধু তোমাকেই চাইতাম। 

হয়তো মনের মধ্যে বিশ্বাসের কমতি থাকার 

কারনেই তোমাকে পেয়েও হারিয়ে ফেলেছি। 

শুনেছি একান্ত মনথেকে কোনকিছু চাইলে সেটা পূরণ হয়। 

আমি আমার অন্তরের গভীর থেকে চাইবো, 

তোমার ভালবাসার মানুষ যেন পৃথীবিতে 

সবচেয়ে তোমাকেই বেশি ভালবাসে।

আর তুমি যেন জীবনে অনেক সুখি হতে পার। কিন্তু আমার জীবন? 

আমার জীবন যেন মহান আল্লাহ তাআলা ঠিক আমার চোখের 

জলের মতই নিঃশব্দে ও সবার অজান্তে ইতি ঘটিয়ে দেয়। 

নীলা,বলতে পারো তুমি,আমি এই একাকী জীবন নিয়ে কি করবো? 

কিন্তু আমার একদিকে প্রথম প্রেম 

ছিলে তুমি  আর অন‍্য দিকে ও খুঁজে 

পাই ঠিক তোমাকেই!!শুধু তুমি আর তুমি!! 

কিন্তু আজ আমি না পরছি ভুলতে

  আর না পারছি তোমাকে মেনে নিতে পারছি এই বাস্তবতাকে!!

আমিতো তোমাকে ভালোবাসার কথা 

নাও বলতে পারতাম।কিন্তু আমি তোমাকে খুবই 

ভালোবাসতাম তাইতো সাহস নিয়ে ই বলেছিলাম,

আমার মনের কথাটি যাতে তুমি আমাকে কখনো

 অবিশ্বাস করতে না পার। 

এটাই কি ছিলো আমার অপরাধ? 

জানো,কখনো কখনো মনে হয় আমি

 সেই গ্ৰামের সন্ধ্যা নদীটির ধার দিয়ে 

একমনে হাঁটছি আর ক্লান্ত হয়ে সেই 

শেতপাথরে বাঁধানো ঘাটটিতে বসছি। 

আর কানপেতে আছি শুধুমাত্র একটি কথা শোনার অপেক্ষাই “

জান আমি ফিরে এসেছি”। জানো, আমি এখন এমনই হয়েগেছি। 

যেখানে যা না বলার তাও বলে ফেলছি। 

আজ তোমাকে ফেরানোর জন্য আমার এই চিঠি নয়,

 আমার মনের গভীরে তোমার স্থান থাকবে ও থাকবে অনন্তকাল 

আমার ভালোবাসা কতটা গভীর ছিলো সেই কথাগুলো বলতেই,

এছাড়াও তোমার প্রতি এই কথাগুলো 

প্রকাশ করার জন্যই আমার এই চিঠি। 

আমি নিশ্চিত যে,

জীবনে কোন একদিন তুমি আমার 

ভালবাসাকে হৃদয় থেকে অনুভব করতে পারবে।

 আর সেদিন আমার উদ্দ‍্যেশ‍্যো তোমার মুখ 

থেকে করুণ সুরেএকটি কথাই উচ্চারিত হবে “

 কিছু মানুষ হয়তো এভাবেই নিঃস্বার্থভাবে

 অপরকে ভালবাসার জন্য ই কষ্টপেতে পৃথিবীতে আসে”।

নীলা আমি সত্যিই আর পারছিনা। একলা ঐ নদীরতীরে হাঁটতে ,

আজ যেন হাঁটতে হাঁটতে বড়‌ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।

ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবেসেই 

আমরা আমাদের জীবনকে সঠিকভাবে সাজিয়ে নেবো। 

অন‍্যন‍্যা জীবনের মতোই এক ভালোবাসার ইতিহাস রচনা করবো।

আর একদিন হয়তোবা এভাবেই শেষ হবে 

আমাদের ভালোবাসার ছোট গল্প।

 যার সার্থকতা ফুটে উঠবে দুজনের অসমাপ্ত 

ভালোবাসার অসমাপ্ত কষ্টের মাধ্যমে। 

কিন্তু কোনোটাই হলোনা। 

কারণ দুজনের মধ্যেই এখনো  

যথেষ্ট ভালোবাসা আছে এবন রয়েছে আকাশ ছোঁয়া দূরত্ব, নীলা, 

কিন্তু, তোমার ফিরে আসার কি কোন উপাই নেই?

 আবার আমি তোমার সাথে রাত জেগে চাঁদ দেখতে চাই, 

আবার তোমার সাথে অনেক রাত পর্যন্ত ফোনে কথা বলতে চাই। 

কিন্তু, নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে ফেলা 

যে কত কষ্টের আর তাকে সামনে পেয়েও নিজের করে না পাওয়া

 যে কি দুঃসহ তা আমি তোমাকে বোঝাতে পারবনা। কি বলবো, 

হয়তো হাতের রেখাতেই তোমার নামটা লেখা ছিলোনা।

যদি কখনো শুনো আমি আর এই পৃথিবীর বুকে বেচেঁ নেই, 

কখনও তুমি আমাকে অবিশ্বাস করোনা। 

কারন বেঁচে থেকেও আমাকে এখন মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করতে হচ্ছে। 

আমি এখন স্পষ্ট শুনতে পাই মৃত্যুর পদধ্বনি। 

হয়তো এটাই বিধির বিধান লেখা ছিলো,আমার নিয়তি যে এটাই। 

তুমি সুখে থেকো। আর বেশি কিছু লিখছিনা,

রাত চারটা বেজে গেছে। 

আর বেশি লিখলে হয়তো তুমি কখন‌ও 

পড়বেনাআমার এই দেওয়া চিঠি, 

রাগের মাথায় ছিড়ে ফেলে দিবে। 

তখন দেখা যাবে আমার লেখা চিঠির সুখের সমাপ্তি 

থেকে যাবে ঐ না পড়া চিঠিতে। 

তোমার কাছে আমার শেষ অনুরোধ, 

আমার মৃত্যুর খবর শুনে কিছু না হলেও

 আমার এই পত্রটি লিখতে যে ক-

ফোঁটা চোখের জল পড়েছে, ভালবেসে আমার 

স্মৃতির উদ্দেশ্য অন্তত সে ক-

ফোঁটা চোখের জল তুমি ফেলো। 

হয়তো সেটাই হবে আমার জীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া

 তোমার কাছ থেকে।

 আর এই পাওয়া টুকুই হবে আমার ও তোমার ভালোবাসার

 সুখের আসমাপ্তির

 এক অপূর্ব ইতিহাস।

Post a Comment

Previous Post Next Post