আব্বু--ঠিক আছে তুই কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর আমি একটু পর আসছি.. আব্বু আম্মু কে ডাকলো..
আম্মু--ডাকছো কেন..?
আব্বু--তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যাবো..
আম্মু--তুমি কি সব বলছো সাগরের পড়া শেষ হয়নি এখনো..
আব্বু--আমি রেডি হতে বলছি রেডি হয়ে নাও,নিশি কে রেডি হতে বলো..
আম্মু--ওকে, আমি রেডি হচ্ছি কিছুক্ষণ পর সবাই রেডি হয়ে আন্টি কে নিয়ে রিয়া দের বাড়িতে এলো..
আংকেল--ভাই এবার মেয়েকে নিয়ে আসেন.?
রিয়ার আব্বু--হ্যা নিয়ে আসছি.. কিছুক্ষণ পর রিয়া কে নিয়ে এলো..
নিশি--আপনাকে যেনো কোথায় দেখছি ওহ মনে পড়েছে, ভাইয়া সাথে দেখছি..
আন্টি--আমিও দেখছি সেই মার্কেটে সাগরের জামা কাপড় পছন্দ করতে দেখছি..
আংকেল--আহ কি শুরু করলে তোমরা, আসলে মেয়ে দেখতে হচ্ছে অন্য কথা..
আব্বু--আমার তো মেয়ে পছন্দ হয়েছে, এমন একটা বউমা খুঁজছিলাম..
আম্মু--যত তাড়াতাড়ি পারো আমার বউমা কে নিয়ে চলো..
আব্বু--তুই এখন কি বলবি সেটাই বল বিয়ের দায়িত্ব আমার একার নয়.
আংকেল--সাগরের সামনের বছরের কলেজ শেষ,ইন্টার্নতে যাবে এর আগে বিয়ে ঠিক কর.
আন্টি--এতো দেরি কিসের শুনি, আমি বলছি দশ দিনের মধ্যেই বিয়ে ঠিক করো..
আম্মু--আপার সাথে আমার এক মত..
রিয়ার আব্বু--আপনারা যে দিনের বিয়ে ঠিক করবেন সেটাই হবে..
আব্বু--দুই দিন পর বিয়ে ঠিক..
আংকেল--ভালো এখানে আমার কিছু বলার নেই,
রিয়া--স্যার আমার একটা কথা ছিলো..?
আংকেল--স্যার কিসের আমাকে আজ থেকে ছোট আব্বু বলে ডাকে..
রিয়া--ওকে ছোট আব্বু, আপনার ছেলের সাথে কিছু বলবেন না..
নিশি--বুঝতে পারছি সারপ্রাইজ দিতে চাও..
রিয়ার আব্বু--ঠিক আছে আমি আয়োজন করছি, আপনারা মিষ্টি মুখ করেন..
আম্মু--কই দেখি মা এই দিকে আসো, আম্মু নিজের গলা থেকে সোনার গয়না খুলে পরিয়ে দিলো..
আন্টি--আমিও ছোট আম্মু আমার কাছে কিছু পাও আছে, আন্টি নিজের হাত থেকে সোনার বালা দুটো খুলে পরিয়ে দিলো..
আব্বু--আমরা চলি ভাই, বিয়ের আয়োজন করতে হবে, রিয়াদের বাড়িতে সবাই বাড়িতে এলো..
আমি--আম্মু কোথায় গিয়েছিলে সব আমার ক্ষুধা লেগেছে..
নিশি--নিজে নিয়ে খেতে পারিস না..
আমি--তুই নিজে খাবার বেড়ে খাইছিস..
আব্বু--বেশি কথা না বলে টেবিলে গিয়ে বস সবাই খেতে দিচ্ছে..
আম্মু সবাই কে খাবার বেড়ে দিলো আমি খাবার দাওয়া সেরে রুমে এলাম.. তখনি মনে পড়লো রিয়ার কথা.. রিয়ার কাছে ফোন দিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে..
আমি--রিয়ার বাড়িতে কিছু হয়নি তো, শরিফ আবার বাড়িতে কিছু বলেনি তো.. আমি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম, সকালে চিল্লাচিল্লি শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল.. চোখ মেলে দেখি হারামি গুলো
নিধি--কখন থেকে তোকে ডাকছি কিন্তু উঠছিস না..
আমি--তোরা এখানে কি করছিস..?
নীল--বিয়ে খেতে আসলাম রাফি আমরা বাইরে গিয়ে ফুল সাজাতে থাকি..
আমি--কার বিয়ে..
রিমি--ন্যাকামি করা বন্ধ কর, তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে আয়.. ওরা চলে গেল..
আমি--কি হচ্ছে সব নিধি তোরা বলে যা কার বিয়ে.. আমি বেড থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে এলাম..
আন্টি--তুই বস আমি নাস্তা দিচ্ছি..
আমি--আচ্ছা, কিন্তু তুমি এখানে আবার বাড়িতে এতো লোকজন কার বিয়ে হচ্ছে..
আন্টি--সন্ধ্যা হলে জানতে পারবি, এখন নাস্তা করে নে.. আমি চুপচাপ নাস্তা শেষ করে নিলাম..সবার কাছে জিজ্ঞাসা করছি কিন্তু সবাই আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে.. সন্ধ্যায় আমি আমার রুমে বসে আছি তখন আব্বু সাথে হারামি গুলো এলো..
আব্বু--পাঞ্জাবি পরে রেডি হয়ে নে,আজ তোর গায়ে হলুদ..
আমি--কি আমার বিয়ে বিয়ে..! আমি বিয়ে করবো না..
রিমি--তোর কারোর পছন্দ থাকলে বল ভয় পাস না..
আমি--তোর বোন কে অন্যের সাথে বিয়ে ঠিক করে রাখছিস এখন আমার নাটক করছিস হুম..
আব্বু--আমি ঐ সব কিছু জানি না, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় বাইরে সবাই অপেক্ষা করছে..
নীল--আংকেল আপনি যান আমরা রেডি করে নিয়ে আসছি.. আব্বু চলে গেল..
আমি--আমার বিয়ে আর আমিই জানি না, তোরা জানলি কি করে..
নিধি--আন্টি ফোন করে সকালের মধ্যে আসতে বলছে আমরা সবাই এসে শুনি আজ তোর গায়ে হলুদ আগামীকাল বিয়ে..
আমি--রিমি তুই এটা কি করলি কি করলি তুই, তোর বোন রিয়ার সাথে বিয়ে ঠিক করলি অন্য ছেলের..
রিমি--চুপ কর, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আয়, নিধি আর রিমি নিচে চলে গেল আমি রেডি হয়ে নিচে এলাম..
নিশি--ভাইয়া তোর জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে রিয়া আপুর সাথে বিয়ে হচ্ছে না..
আমি--চুপ কর তুই, তোর বান্ধবীরা কোথায়..
নিশি--আমার রুমে ইভা কান্না করছে তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে,তাই সব ওকে মিলে বোঝাছে..
আমি--ওহ, আমি বাইরে এলাম কিছু অনুষ্ঠান পালন করে সবাই মিলে আমাকে হলুদ মাখিয়ে দিল.. রাতের গোসল সেরে খাওয়া দাওয়া সেরে আমি আর নীল রাফি ঘুমিয়ে পড়লাম..
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল নীলের নাক ডাকার শব্দ শুনে.. দিলাম একটা লাথি
নীল--এই এই কি আমি নিচে কেন.?
আমি--আমি লাথি মারছি.
রাফি--আরেকটা লাথি মার হারামজাদা কে নাক ডাকার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল..
নীল--আরে দূর আমি নাক ডাকাই না, তবে ক্লান্ত হলে..
আমি--চুপ করে ঘুমা.. আমি ও ঘুমিয়ে পড়লাম.পরের দিন সকালে সবাই মিলে আমাকে গোসল করিয়ে দিলো..
আমি রিয়ার কাছে ফোন দিলাম কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে..
আব্বু--তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আয়, রাফি নীল ওকে রেডি করে নিয়ে আয়..
আংকেল--তুই ছেলেটার উপর বকছিস কেন, সাগর রেডি হয়ে আয়,হারামি দুইটা আমাকে জোর করে ধরে রেডি করিয়ে দিল তার পর গাড়ি তুলল.
আমি--রাফি আমি বিয়ে করবো না..
নিশি--ভাইয়া ভাবি দেখতে অনেক সুন্দর..
আমি--চুপ কর এত কথা বলিস কেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা কমিউনিটি সেন্টারের এলাম.. বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে বাড়িতে এলাম..
বাসর রাতে জোর করে ঢুকিয়ে দিল হারামি গুলো, সাথে আমার কতো গুলো টাকা নিয়ে নিলো..
বউ--বউ এসে আমার পা ধরে সালাম করলো, আমি বউ কে দিলাম..
আমি--দেখো আমার এই বিয়েতে কোন মত ছিল না, আমি আমার ক্রাশ কে ভালবাসি.. আমি পিছন ঘুরে বললাম.
বউ--নিশ্চয় আমার দেখতে, আমি গলাটা খুব চেনা চেনা লাগছে তাই মেয়েটির দিকে তাকালাম আর অবাক হয়ে গেলাম..!
আমি--তুমি..!
রিয়া--হ্যা আমি আপনাকে ভালোবাসি, আমি ও জানি আপনি আমাকে ভালবাসেন..
আমি--কে বলেছে..?
রিয়া--রিমি আপু আমাকে সব কিছু বলেছে কিন্তু তখন আমার বিয়ে ঠিক ছিলো.. তার আগে আপু সাথে বলছিলাম আমি আপনাকে ভালোবাসে ফেলছি.হঠাৎ একদিন শরিফের ব্যাপারে খোঁজ খবর পেলাম..
আমি--বুঝতে পারছি, রিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো.
রিয়া--ভালোবাসি আপনাকে.. আমার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট দুটো চেপে ধরল কিছুক্ষণ ছেড়ে দিলো.
আমি--তাই নাকি কিন্তু তোমার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে বললে না কেন..?
রিয়া--সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য..আই লাভ ইউ
আমি--আই লাভ ইউ টু, তার পর রিয়া আমাকে বেডের উপরে ফেলে দিলো লাইট অফ করে যা করতে শুরু করলো তা বলা যাবে না..
আর নারী আসলে যা, তাঁর বদলে যখন সে অন্যকিছুর প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়, তখন তাঁর আকর্ষণ করার শক্তি হাজার গুণ বেড়ে যায়।
সমাপ্ত...
Post a Comment